ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশুলিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে তরুণীর অনশন

ঢাকার আশুলিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীর সামনে গিয়ে অনশন করছেন সাকিবা আক্তার (১৮) নামের এক তরুণী। বিয়ে না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে আশুলিয়ার শ্রীপুর কসাইপাড়া এলাকায় প্রেমিক আরাফাতের বাড়ীর উঠানে অবস্থান নেয় ওই তরুণী।
সাকিবা আক্তারের গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায়। প্রেমিক আরাফাত হোসেন রিফাত বেসরকারি সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্র বলে জানা গেছে। সে ওই এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে।
অনশনরত সাকিবা আক্তার বলেন, তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আরাফাতের সাথে আমার পরিচয় হয়। তিন বছর ধরে আরাফাতের সাথে সম্পর্ক চলছিল। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আমার মায়ের সাথে মান-অভিমান হওয়ায় গত বছরের নভেম্বরের ১২ তারিখ রাত নয়টার দিকে আমাকে আরাফাত এসে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে ওইদিন রাতে ওর মা আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাদের দুজনকে একসাথে থাকতে হয়। পরে ওইদিন রাতে আরাফাত আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরেরদিন সকালে আমি ঘটনাটি আরাফাতের মা কাকলি আক্তারকে জানালে তিনি আরাফাতের সাথে আমাকে বিয়ে দিবে বলে আশ্বস্ত করে। পরবর্তীতে তারা আমার বাবার সাথে যোগাযোগ করে গত বছরের ২৭ নভেম্বর আমাদের বাড়িতে বিয়ের কথাবার্তা বলার জন্য ধার্য করে। কিন্তু পরবর্তীতে বারবার তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা আর আসেনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল, তাদের পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনেও নিয়েছিল। হঠাৎ করে আরাফাতের বোনের সাথে অন্য একটি ছেলের রিলেশনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তারা আমাকে দোষারোপ করেন। সেই ঘটনার জেরে আরাফাতের আম্মা আমাকে মারধরও করেন।
তরুণী আরও বলেন, সম্পর্কের ভাটা পরার কারণে ভালুকা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে কোনো সুরাহা না পেয়ে আরাফাতের বাড়ির ওঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আরাফাত যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো। আমি এখানে মরে যাবো। তাও এখান থেকে যাবো না।
সাকিবা আরো বলেন, আমি জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯- এ ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আসে নাই। পুলিশ আমাকে থানায় যেতে বললে আমি থানায় যাইনি। কিন্তু পুলিশ আমার কোনো অভিযোগ নেয়নি, কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
ইকবাল হোসেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া পোশাক কারখানায় ইলেক্ট্রিশিয়ান উজ্জ্বল মোল্লা বলেন, আমি যে বাসায় থাকি। ওই বাড়ীর মালিকের বাসার সামনে সন্ধ্যার পর থেকে বোরকা পড়া একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু কি কারণে দাড়িয়ে আছে তা আমি জানি না।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি জানিনা। আমি আগে নিজে জানি, পরে আপনাকে জানাবো।
ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আশুলিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে তরুণীর অনশন

আপডেট সময় ০২:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ এপ্রিল ২০২৩
ঢাকার আশুলিয়ায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীর সামনে গিয়ে অনশন করছেন সাকিবা আক্তার (১৮) নামের এক তরুণী। বিয়ে না হলে তিনি আত্মহত্যা করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা থেকে আশুলিয়ার শ্রীপুর কসাইপাড়া এলাকায় প্রেমিক আরাফাতের বাড়ীর উঠানে অবস্থান নেয় ওই তরুণী।
সাকিবা আক্তারের গ্রামের বাড়ী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানায়। প্রেমিক আরাফাত হোসেন রিফাত বেসরকারি সিটি ইউনিভার্সিটির ছাত্র বলে জানা গেছে। সে ওই এলাকার ইকবাল হোসেনের ছেলে।
অনশনরত সাকিবা আক্তার বলেন, তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আরাফাতের সাথে আমার পরিচয় হয়। তিন বছর ধরে আরাফাতের সাথে সম্পর্ক চলছিল। আমাদের প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আমার মায়ের সাথে মান-অভিমান হওয়ায় গত বছরের নভেম্বরের ১২ তারিখ রাত নয়টার দিকে আমাকে আরাফাত এসে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
পরে ওইদিন রাতে ওর মা আমার অনিচ্ছা সত্ত্বেও আমাদের দুজনকে একসাথে থাকতে হয়। পরে ওইদিন রাতে আরাফাত আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে ধর্ষণ করে। পরেরদিন সকালে আমি ঘটনাটি আরাফাতের মা কাকলি আক্তারকে জানালে তিনি আরাফাতের সাথে আমাকে বিয়ে দিবে বলে আশ্বস্ত করে। পরবর্তীতে তারা আমার বাবার সাথে যোগাযোগ করে গত বছরের ২৭ নভেম্বর আমাদের বাড়িতে বিয়ের কথাবার্তা বলার জন্য ধার্য করে। কিন্তু পরবর্তীতে বারবার তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলেও তারা আর আসেনি।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সম্পর্ক ভালোই চলছিল, তাদের পরিবার আমাদের সম্পর্ক মেনেও নিয়েছিল। হঠাৎ করে আরাফাতের বোনের সাথে অন্য একটি ছেলের রিলেশনের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় তারা আমাকে দোষারোপ করেন। সেই ঘটনার জেরে আরাফাতের আম্মা আমাকে মারধরও করেন।
তরুণী আরও বলেন, সম্পর্কের ভাটা পরার কারণে ভালুকা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। পরে কোনো সুরাহা না পেয়ে আরাফাতের বাড়ির ওঠানের সামনে অবস্থান নিয়েছি। আরাফাত যদি আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো। আমি এখানে মরে যাবো। তাও এখান থেকে যাবো না।
সাকিবা আরো বলেন, আমি জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯- এ ফোন দিয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আসে নাই। পুলিশ আমাকে থানায় যেতে বললে আমি থানায় যাইনি। কিন্তু পুলিশ আমার কোনো অভিযোগ নেয়নি, কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
ইকবাল হোসেনের বাড়ীর ভাড়াটিয়া পোশাক কারখানায় ইলেক্ট্রিশিয়ান উজ্জ্বল মোল্লা বলেন, আমি যে বাসায় থাকি। ওই বাড়ীর মালিকের বাসার সামনে সন্ধ্যার পর থেকে বোরকা পড়া একটি মেয়ে দাড়িয়ে আছে। কিন্তু কি কারণে দাড়িয়ে আছে তা আমি জানি না।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোমেনুল ইসলাম বলেন, আমি ঘটনাটি জানিনা। আমি আগে নিজে জানি, পরে আপনাকে জানাবো।