ঢাকা , শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫, ২৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাকার ধামরাইয়ে শুরু হচ্ছে ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা Logo টালবাহানা করে নির্বাচন বিলম্বিত জনগণ মেনে নেবে না: ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ Logo ধামরাইয়ের সাবেক এমপি এম এ মালেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার Logo ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত Logo ধামরাইয়ে বালিয়া এলাকাবাসীর মানব-বন্ধন Logo ঢাকার ধামরাইয়ে ২টি ইটভাটায় ২২ লক্ষ টাকা জরিমানা Logo ধামরাইয়ে সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে দুদক এর অভিযান Logo ধামরাইয়ে তরঙ্গ ক্লাবের আয়োজনে ব্যাটমিন্টন টুর্নামেন্ট ২০২৫ ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত Logo ধামরাইয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ঢাকার ধামরাইয়ে শুরু হচ্ছে ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা

মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুরু হচ্ছে ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা। এই উপলক্ষে রথের সকল প্রস্তুতি শেষ করে সাজিয়ে তুলা হচ্ছে ৬০ফুট উচ্চতার এই রথটি। ধোঁয়ামুছা শেষ করে রঙ তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কারীগররা। রথের এই উৎসবকে পালন করতে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
রথযাত্রার আয়োজকরা জানান, আগামী ২৭ জুন শুক্রবার শুরু হবে রথটান। ৫ জুলাই উল্টোরথের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। তবে এই রথকে কেন্দ্র করে পরবর্তী একমাস চলবে ঐতিহ্যবাহী রথমেলা।
ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথের প্রচলন হয়েছে ৪শ বছরেরও অধিক সময় ধরে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ৪শ বছর আগে রাজা শ্রী যশোপাল তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে যাচ্ছিলেন পাশের এক এলাকায়। বন-জঙ্গলে ঘেরা পথের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি উচু ঢিবির সামনে গিয়ে থেমে যায় হাতিটি। কিন্তু হাতিকে যথই যেতে বলে, হাতি কিন্তু এক পাও সামনে যায় না। এই দৃশ্য দেখে রাজা শ্রী যশোপাল ঢিবিটি খননের নির্দেশ দেন সৈন্যদের। খননের পর ঢিবির নিচে একটি মন্দির ও বেশ কিছু মূর্তি দেখতে পান রাজা। সাথে সাথে রাজা শ্রী যশোপাল সেখানে ভক্তি দিয়ে মূর্তি গুলো বাড়ীতে নিয়ে যান। পরে রাতেই স্বপ্নে দেখেন মাধব দেবতাকে রাজা শ্রী যশোপাল। মাধব দেবতা স্বপ্নে শ্রী যশোপালকে পূজা করার নির্দেশ দেন এবং তার নামের সাথে মাধব নাম বসিয়ে দিতে বলে। সেই থেকে যশোপালের নাম হয়ে যায় যশোমাধব। তখন সময়টা ছিল চন্দ্র আষাঢের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথি। সেই থেকে শুরু হয় যশোমাধবের পূজা ও রথযাত্রা। গত ৪শ বছরেরও অধিক সময় ধরে ধামরাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী এ রথযাত্রা।
সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলা ১২০৪ থেকে ১৩৪৪ সন পর্যন্ত বালিয়াটি জমিদাররা বংশানুক্রমে এখানে চারটি রথ তৈরি করেন। ১৩৪৪ সনে এই রথের কাজ করে
ছিলেন নারায়ণগঞ্জের স্বর্গীয় সূর্যনারায়ণ সাহা। সেই সময় রথটি তৈরি করতে সময় লেগেছে এক বছর। পর্যাক্রমে ধামরাই কালিয়াকৈর, সাটুরিয়া, সিঙ্গাইর এর বিভিন্ন কাঠশিল্পীরা যৌথভাবে নির্মাণকাজে অংশগ্রহণ করে ৬০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন রথটি তৈরি করেন। রথটি ত্রিতলবিশিষ্ট ছিল, যার প্রথম ও দ্বিতীয় তলার চার কোণে চারটি প্রকোষ্ঠ ও তৃতীয় তলায় একটি প্রকোষ্ঠ ছিল। পরে বালিয়াটি জমিদাররা চলে যাওয়ার পর রথের দেখবাল করতেন টাঈাইলের রণদাপ্রসাদ সাহার পরিবার। পরে ২০১০ সালে ধামরাইয়ের পুরানো রথটির আদলে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন রথ তৈরি করা হয়। যা ৪০ জন শিল্পী ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে কাজ করে ৩৭ ফুট উচ্চতা ও ২০ প্রস্থের কারুকার্য খচিত একটি নতুন রথ তৈরি করেন।
রথটিতে রয়েছে লোহার খাঁচার উপর সেগুন ও চাম্বল কাঠ বসিয়ে খোদাই করে তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় সব শৈল্পিক নিদর্শন। এতে রয়েছে লোহার তৈরি ১৫টি চাকা এবং রথের সামনে রয়েছে কাঠের তৈরি দুটি ঘোড়া ও সারথি। এছাড়া রথের প্রকোষ্ঠের মাঝে স্থাপন করা হয়েছে কাঠের তৈরি বিভিন্ন দেব দেবির মূর্তি।
রথের খুঁটির ও প্রতিমার রঙ তুলির কাজ করছিলে সঞ্জয় পাল নামে রংমিস্ত্রি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত ১১বছর যাবত রথের সাজসজ্জা ও মেরামতের কাজ করছি। গত কয়েকদিন যাবত টানা রথের সংস্কার ও ধোঁয়া-মোছার কাজও করছি। এই কাজ শুধু পেশা হিসাবে নয়, নিজের ভাল লাগা থেকে করে থাকি। আগামী ২৭জুন রথটান হবে। এর আগেই রথের সব কাজ সেরে ফেলবো।
প্রদীপ চৌধুরী নামে অপর এক রংমিস্ত্রি বলেন, ভনবানের কৃপা ও মানুষের আর্শিবাদ পেতে এই রথের কাজ করছি। রথের রঙের প্রয়োজনীয় সব করা হচ্ছে। রঙ করে রথটিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির জন্য কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে সময় মতো সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
যশোমাধব মন্দির পরিচালনা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও নিরাপত্তায় উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা উৎসব পালিত হবে। রথযাত্রার উৎসবকে সুন্দরভাবে পালন করতে বেশ কয়েকটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। তারা রথযাত্রাকে সঠিকভাবে পালন করতে কাজ করছে।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় সকল জায়গায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আমরা রথ উৎসবকে সুন্দরভাবে পালন করতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।
এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রথযাত্রার বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক অবগত রয়েছেন। তিনি সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করছি অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা উদযাপন হবে। পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এচাড়া উপজেলা প্রশাসনও কাজ করছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢাকার ধামরাইয়ে শুরু হচ্ছে ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা

ঢাকার ধামরাইয়ে শুরু হচ্ছে ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা

আপডেট সময় ০৩:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাইয়ে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শুরু হচ্ছে ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা। এই উপলক্ষে রথের সকল প্রস্তুতি শেষ করে সাজিয়ে তুলা হচ্ছে ৬০ফুট উচ্চতার এই রথটি। ধোঁয়ামুছা শেষ করে রঙ তুলির কাজে ব্যস্ত সময় পার করছে কারীগররা। রথের এই উৎসবকে পালন করতে এরই মধ্যে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন।
রথযাত্রার আয়োজকরা জানান, আগামী ২৭ জুন শুক্রবার শুরু হবে রথটান। ৫ জুলাই উল্টোরথের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে। তবে এই রথকে কেন্দ্র করে পরবর্তী একমাস চলবে ঐতিহ্যবাহী রথমেলা।
ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথের প্রচলন হয়েছে ৪শ বছরেরও অধিক সময় ধরে। ইতিহাস থেকে জানা যায়, ৪শ বছর আগে রাজা শ্রী যশোপাল তার সৈন্য সামন্ত নিয়ে যাচ্ছিলেন পাশের এক এলাকায়। বন-জঙ্গলে ঘেরা পথের মধ্যে দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ একটি উচু ঢিবির সামনে গিয়ে থেমে যায় হাতিটি। কিন্তু হাতিকে যথই যেতে বলে, হাতি কিন্তু এক পাও সামনে যায় না। এই দৃশ্য দেখে রাজা শ্রী যশোপাল ঢিবিটি খননের নির্দেশ দেন সৈন্যদের। খননের পর ঢিবির নিচে একটি মন্দির ও বেশ কিছু মূর্তি দেখতে পান রাজা। সাথে সাথে রাজা শ্রী যশোপাল সেখানে ভক্তি দিয়ে মূর্তি গুলো বাড়ীতে নিয়ে যান। পরে রাতেই স্বপ্নে দেখেন মাধব দেবতাকে রাজা শ্রী যশোপাল। মাধব দেবতা স্বপ্নে শ্রী যশোপালকে পূজা করার নির্দেশ দেন এবং তার নামের সাথে মাধব নাম বসিয়ে দিতে বলে। সেই থেকে যশোপালের নাম হয়ে যায় যশোমাধব। তখন সময়টা ছিল চন্দ্র আষাঢের শুক্লপক্ষের দ্বিতীয় তিথি। সেই থেকে শুরু হয় যশোমাধবের পূজা ও রথযাত্রা। গত ৪শ বছরেরও অধিক সময় ধরে ধামরাইয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে ঐতিহ্যবাহী এ রথযাত্রা।
সরেজমিনে গিয়ে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বাংলা ১২০৪ থেকে ১৩৪৪ সন পর্যন্ত বালিয়াটি জমিদাররা বংশানুক্রমে এখানে চারটি রথ তৈরি করেন। ১৩৪৪ সনে এই রথের কাজ করে
ছিলেন নারায়ণগঞ্জের স্বর্গীয় সূর্যনারায়ণ সাহা। সেই সময় রথটি তৈরি করতে সময় লেগেছে এক বছর। পর্যাক্রমে ধামরাই কালিয়াকৈর, সাটুরিয়া, সিঙ্গাইর এর বিভিন্ন কাঠশিল্পীরা যৌথভাবে নির্মাণকাজে অংশগ্রহণ করে ৬০ ফুট উচ্চতাসম্পন্ন রথটি তৈরি করেন। রথটি ত্রিতলবিশিষ্ট ছিল, যার প্রথম ও দ্বিতীয় তলার চার কোণে চারটি প্রকোষ্ঠ ও তৃতীয় তলায় একটি প্রকোষ্ঠ ছিল। পরে বালিয়াটি জমিদাররা চলে যাওয়ার পর রথের দেখবাল করতেন টাঈাইলের রণদাপ্রসাদ সাহার পরিবার। পরে ২০১০ সালে ধামরাইয়ের পুরানো রথটির আদলে প্রায় দেড় কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন রথ তৈরি করা হয়। যা ৪০ জন শিল্পী ছয় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিরলসভাবে কাজ করে ৩৭ ফুট উচ্চতা ও ২০ প্রস্থের কারুকার্য খচিত একটি নতুন রথ তৈরি করেন।
রথটিতে রয়েছে লোহার খাঁচার উপর সেগুন ও চাম্বল কাঠ বসিয়ে খোদাই করে তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় সব শৈল্পিক নিদর্শন। এতে রয়েছে লোহার তৈরি ১৫টি চাকা এবং রথের সামনে রয়েছে কাঠের তৈরি দুটি ঘোড়া ও সারথি। এছাড়া রথের প্রকোষ্ঠের মাঝে স্থাপন করা হয়েছে কাঠের তৈরি বিভিন্ন দেব দেবির মূর্তি।
রথের খুঁটির ও প্রতিমার রঙ তুলির কাজ করছিলে সঞ্জয় পাল নামে রংমিস্ত্রি। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, গত ১১বছর যাবত রথের সাজসজ্জা ও মেরামতের কাজ করছি। গত কয়েকদিন যাবত টানা রথের সংস্কার ও ধোঁয়া-মোছার কাজও করছি। এই কাজ শুধু পেশা হিসাবে নয়, নিজের ভাল লাগা থেকে করে থাকি। আগামী ২৭জুন রথটান হবে। এর আগেই রথের সব কাজ সেরে ফেলবো।
প্রদীপ চৌধুরী নামে অপর এক রংমিস্ত্রি বলেন, ভনবানের কৃপা ও মানুষের আর্শিবাদ পেতে এই রথের কাজ করছি। রথের রঙের প্রয়োজনীয় সব করা হচ্ছে। রঙ করে রথটিকে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে বৃষ্টির জন্য কাজে কিছুটা ব্যাঘাত ঘটেছে। তবে সময় মতো সব কাজ শেষ হয়ে যাবে।
যশোমাধব মন্দির পরিচালনা পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নন্দ গোপাল সেন বলেন, অন্যান্য বছরের মতো এবারও নিরাপত্তায় উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা উৎসব পালিত হবে। রথযাত্রার উৎসবকে সুন্দরভাবে পালন করতে বেশ কয়েকটি উপ-কমিটি করা হয়েছে। তারা রথযাত্রাকে সঠিকভাবে পালন করতে কাজ করছে।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম বলেন, হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্যতম বড় উৎসব রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তার সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় সকল জায়গায় পুলিশ মোতায়েন থাকবে। আমরা রথ উৎসবকে সুন্দরভাবে পালন করতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করবো।
এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ মামনুন আহমেদ অনীক বলেন, রথযাত্রা উপলক্ষে সকল নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। রথযাত্রার বিষয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসক অবগত রয়েছেন। তিনি সার্বিক দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। আশা করছি অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে রথযাত্রা উদযাপন হবে। পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। এচাড়া উপজেলা প্রশাসনও কাজ করছে।