বৈশ্বিক মন্দা, দেশে জ্বালানির ক্রমাগত মূল্যবৃদ্ধির মধ্যেও ইতিবাচক ধারায় ছিল রপ্তানি আয়। চার মাস ধরে রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি থাকলেও সদ্যসমাপ্ত মার্চে নেতিবাচক ধারায় ফিরেছে রপ্তানি।
মার্চে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে উদ্যোক্তারা আয় করেছেন ৪৬৪ কোটি ৩৯ লাখ ডলার। এ আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭ শতাংশ ও গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ কম।
রোববার (২ এপ্রিল) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইপিবি জানায়, চলতি বছর মার্চে রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫০২ কোটি ডলার। ২০২১-২২ অর্থবছরের মার্চে রপ্তানি হয়েছে ৪৭৬ কোটি ২২ লাখ ডলার।
মার্চে নেতিবাচক প্রভাব থাকলেও অর্থবছরের ৯ মাস (জুলাই থেকে মার্চ) মোট রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের তিন প্রান্তিক মিলিয়ে (জুলাই থেকে মার্চ) রপ্তানি আয়ে ৮ দশমিক ০৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। মার্চ শেষে দেশের মোট রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ১৭২ কোটি ১৬ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৩ হাজার ৮৬০ কোটি ৫৬ লাখ ডলার
মোট রপ্তানি আয়ের মধ্যে তৈরি পোশাকের অংশই বেশি। মার্চে মোট ৩ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তবে এ মাসে পোশাক রপ্তানিও আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে এক দশমিক ০৪ শতাংশ পিছিয়ে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ সময়ে পোশাক রপ্তানি করে আয় হয়েছে সাড়ে ৩ হাজার কোটি ডলারের বেশি। একই সময়ে এ খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ১৭ শতাংশ।
এসময় চামড়াজাত পণ্যে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ, পাদুকায় ৫ দশমিক ৭৩ শতাংশ, পরচুলায় ২৯ দশমিক ৪৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
অন্যদিকে এ ৯ মাসে কৃষিপণ্যে ২৮ দশমিক ৩১, হিমায়িত মাছে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ, পাটজাত পণ্যে ২১ দশমিক ২৩ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।