ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ অগাস্ট ২০২৫, ১২ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে শনিবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের আহবান Logo ধামরাই উপজেলা কুশুরা ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ধামরাই সুতিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আলহাজ্ব ফটো মিয়ার স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল Logo ঢাকার ধামরাইয়ে শুরু হচ্ছে ৪শ বছরের ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রা Logo টালবাহানা করে নির্বাচন বিলম্বিত জনগণ মেনে নেবে না: ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ Logo ধামরাইয়ের সাবেক এমপি এম এ মালেক হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার Logo ধামরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী নিহত Logo রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের রুপরেখা ৩১দফা বাস্তবায়নের লক্ষে কর্মী সভা অনুষ্ঠিত Logo ধামরাইয়ে বালিয়া এলাকাবাসীর মানব-বন্ধন Logo ঢাকার ধামরাইয়ে ২টি ইটভাটায় ২২ লক্ষ টাকা জরিমানা

ধামরাইয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

 

মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে মুরগী নিয়ে দ্বন্দ্বে অন্তঃসত্ত্বা কুলসুম আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সকালে লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে চারজনের নামে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম আমেনা (৬০)। তিনি ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিহতের নানি শাশুড়ি। ১০ থেকে ১২ দিন আগে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নিহতের শাশুড়ি সূর্য বানু (৪৫), ননদ ইয়াছমিন (১৯) ও শ্বশুর আয়নাল পাগলা (৫৫)।
নিহত কুলসুম ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার ইয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহতের শাশুড়ির রান্না ঘরে পুত্রবধূর পালিত মুরগি গেলে বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা কুলসুমকে শ্বাসরোধ ও মারধর করে হত্যা করেন। তার কপালের ডান চোখের পাশে রক্তাক্ত জখম, মুখ, পিঠসহ সারা শরীরে জখমের চিহ্ন দেখা যায়।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে নিহতের নানি শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

সাংবাদিক তুহিন হত্যার বিচার দাবিতে শনিবার দেশব্যাপী প্রতিবাদ সমাবেশের আহবান

ধামরাইয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আপডেট সময় ০৯:২০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর ২০২৪

 

মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাই উপজেলার ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া গ্রামে মুরগী নিয়ে দ্বন্দ্বে অন্তঃসত্ত্বা কুলসুম আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) সকালে লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মোঃ ইকবাল হোসেন বাদী হয়ে চারজনের নামে ধামরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম।
গ্রেপ্তার ওই নারীর নাম আমেনা (৬০)। তিনি ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের বান্নাখোলা এলাকার বাসিন্দা। তিনি নিহতের নানি শাশুড়ি। ১০ থেকে ১২ দিন আগে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসেছিলেন।
এছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন, নিহতের শাশুড়ি সূর্য বানু (৪৫), ননদ ইয়াছমিন (১৯) ও শ্বশুর আয়নাল পাগলা (৫৫)।
নিহত কুলসুম ধামরাইয়ের ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের পাইকপাড়া এলাকার ইয়ার হোসেনের স্ত্রী। তিনি চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, নিহতের শাশুড়ির রান্না ঘরে পুত্রবধূর পালিত মুরগি গেলে বউ-শাশুড়ির মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। পরে হাতাহাতির এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা কুলসুমকে শ্বাসরোধ ও মারধর করে হত্যা করেন। তার কপালের ডান চোখের পাশে রক্তাক্ত জখম, মুখ, পিঠসহ সারা শরীরে জখমের চিহ্ন দেখা যায়।
পুলিশ জানায়, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মনিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হলে নিহতের নানি শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করা হয়। অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।