ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ধামরাইয়ে পরকীয়ায় প্রেমিক যুগল জনতার হাতে আটক প্রেমিককে পুলিশে সোপর্দ

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাইয়ে পরকীয়ায় রাজমিস্ত্রির সাথে জনতার হাতে আটক হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রী। এঘটনায় ওই পরকীয়া প্রেমিক রাজমিস্ত্রিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। জনতার হাতে আটক প্রেমিক যুগলের নাম মোঃ আব্দুল আলেক মিয়া ও শিল্পী আক্তার।

শিল্পী আক্তার উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হালিমের দ্বিতীয় স্ত্রী। ওই আওয়ামীলীগ নেতার দ্বিতীয় স্ত্রী বালিথা বাজার হাবিবা বেকারির নিকটে মোহাম্মদ ভূইয়া নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া করা বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা বাজার হাবিবা বেকারি এলাকায়। এ পরকীয়া প্রেমিক যুগল আটকের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে।প্রেমিক যুগল আটকের ঘটনার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ওই রাতেই ওই বাড়িতে এসে ভিড় জমায।

এলাকাবাসী জানান,সুতিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হালিম তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই শিল্পী আক্তার নামের ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। স্থানীয় মসজিদের একজন ইমাম দিয়ে বিবাহ পড়ানো হলেও তিনি কোন কাবিন রেজিস্ট্রি করেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সরকারি দলের একজন নেতা হলেও কাবিন রেজিস্ট্রি না করে কেউ আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এলাকাবাসী আরো জানান,পরিবারের চাপে তিনি নিরুপায় হয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে ভূইয়া নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তবে তিনি পারিবারিক চাপে বেশিরভাগ সময়ে নিজ বাড়িতে থাকতেন। এ সুযোগে ওই আওয়ামীলীগ নেতার দ্বিতীয় স্ত্রী শিল্পী আক্তার রাজমিস্ত্রি মোঃ আব্দুল আলেকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

তিনি প্রতিনিয়ত ওই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে একই বিছানায় রাত যাপন করতেন। এমনকি সুযোগ পেলেই এ প্রেমিক যুগল দিনে রাতে সবসময়ই গোপন অভিসারে মিলিত হতেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। বিষয়টি এলাকাবাসীর দৃষ্টি গোচর হলে প্রেমিক যুগলকে আটক করার জন্য এলাকাবাসী গোপন পাহাড়ার ব্যবস্থা এবং বিষয়টি ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে অবহিত করেন।
এতে ওই আওয়ামীলীগ নেতা কোনো কর্ণপাত না করলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে যা।বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দুইটার দিকে ওই প্রেমিক যুগলকে একই কক্ষের ভেতর একই বিছানায় আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন।এরপর তাদেরকে ও উপর্যপুরী গণধোলাইও দেওয়া হয। পরিশেষে এলাকাবাসী বিষয়টি ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে অবহিত করেন।
এরপর ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হারুন অর রশিদ উপ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ বদরুল আলম ও মোহাম্মদ সজিব তালুকদারকে সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পাঠান।তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটক ওই পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল আলেককে থানায় নিয়ে আসেন এবং আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রীকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আসেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে নিশ্চিত করেছে ধামরাই থানার পুলিশী সূত্র।

এ ব্যাপারে পরকীয়া প্রেমিক রাজমিস্ত্রি মোঃ আব্দুল আলেক মিয়া জানান,এক্ষেত্রে আমার কোন দোষ নেই।শিল্পী আক্তারের স্বামী আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আব্দুল হালিম তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিতে না পারায় সে আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াতে বাধ্য করে।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রী শিল্পী আক্তার জানায়,আমার স্বামী মোঃ আব্দুল হালিম তাকে বিয়ে করলেও সে কোন কাবিন রেজিস্ট্রি করেননি।তুমি ব্যস্ত থাকার অজুহাতে আমাকে একদমই সময় দিতে চাননি। কাজেই একাকী থাকার যন্ত্রণা সইতে না পেরে আমি ওই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ি।

এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আব্দুল হালিম জানান, এ বিষয়ে আমার খুবই লজ্জা হচ্ছে। কাজেই এ নিয়ে আমার কোন কিছু বলার নেই।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন,এলাকাবাসী ওই প্রেমিক যুগলকে আটক করে আমাকে খবর দেন। এরপর আমি উপ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ বদরুল আলম ও মোহাম্মদ সজীব তালুকদারকে ঘটনাচলে পাঠাই। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পরকীয়া প্রেমিক রাজমিস্ত্রি আব্দুল আলেক মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে এবং আওয়ামী লীগের নেতার স্ত্রীকে পরিবারের জিম্মায় রেখে আসন ।এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

ধামরাইয়ে পরকীয়ায় প্রেমিক যুগল জনতার হাতে আটক প্রেমিককে পুলিশে সোপর্দ

আপডেট সময় ১১:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩

 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাইয়ে পরকীয়ায় রাজমিস্ত্রির সাথে জনতার হাতে আটক হয়েছেন আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রী। এঘটনায় ওই পরকীয়া প্রেমিক রাজমিস্ত্রিকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। জনতার হাতে আটক প্রেমিক যুগলের নাম মোঃ আব্দুল আলেক মিয়া ও শিল্পী আক্তার।

শিল্পী আক্তার উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হালিমের দ্বিতীয় স্ত্রী। ওই আওয়ামীলীগ নেতার দ্বিতীয় স্ত্রী বালিথা বাজার হাবিবা বেকারির নিকটে মোহাম্মদ ভূইয়া নামক এক ব্যক্তির বাড়িতে ভাড়া করা বাসায় থাকতেন বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার দিনগত গভীর রাতে এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের বালিথা বাজার হাবিবা বেকারি এলাকায়। এ পরকীয়া প্রেমিক যুগল আটকের ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চলের সৃষ্টি করেছে।প্রেমিক যুগল আটকের ঘটনার এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ ওই রাতেই ওই বাড়িতে এসে ভিড় জমায।

এলাকাবাসী জানান,সুতিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আব্দুল হালিম তার প্রথম স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই শিল্পী আক্তার নামের ওই তরুণীকে বিয়ে করেন। স্থানীয় মসজিদের একজন ইমাম দিয়ে বিবাহ পড়ানো হলেও তিনি কোন কাবিন রেজিস্ট্রি করেননি বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি সরকারি দলের একজন নেতা হলেও কাবিন রেজিস্ট্রি না করে কেউ আইনের মারাত্মক লঙ্ঘন করেছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।

এলাকাবাসী আরো জানান,পরিবারের চাপে তিনি নিরুপায় হয়ে তার দ্বিতীয় স্ত্রী নিয়ে ভূইয়া নামে ওই ব্যক্তির বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করতেন। তবে তিনি পারিবারিক চাপে বেশিরভাগ সময়ে নিজ বাড়িতে থাকতেন। এ সুযোগে ওই আওয়ামীলীগ নেতার দ্বিতীয় স্ত্রী শিল্পী আক্তার রাজমিস্ত্রি মোঃ আব্দুল আলেকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

তিনি প্রতিনিয়ত ওই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে একই বিছানায় রাত যাপন করতেন। এমনকি সুযোগ পেলেই এ প্রেমিক যুগল দিনে রাতে সবসময়ই গোপন অভিসারে মিলিত হতেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। বিষয়টি এলাকাবাসীর দৃষ্টি গোচর হলে প্রেমিক যুগলকে আটক করার জন্য এলাকাবাসী গোপন পাহাড়ার ব্যবস্থা এবং বিষয়টি ওই আওয়ামীলীগ নেতাকে অবহিত করেন।
এতে ওই আওয়ামীলীগ নেতা কোনো কর্ণপাত না করলে এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে যা।বৃহস্পতিবার দিনগত রাত দুইটার দিকে ওই প্রেমিক যুগলকে একই কক্ষের ভেতর একই বিছানায় আপত্তিকর অবস্থায় আটক করেন।এরপর তাদেরকে ও উপর্যপুরী গণধোলাইও দেওয়া হয। পরিশেষে এলাকাবাসী বিষয়টি ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে অবহিত করেন।
এরপর ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ হারুন অর রশিদ উপ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ বদরুল আলম ও মোহাম্মদ সজিব তালুকদারকে সঙ্গীয় ফোর্স সহ ঘটনাস্থলে পাঠান।তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে জনতার হাতে আটক ওই পরকীয়া প্রেমিক আব্দুল আলেককে থানায় নিয়ে আসেন এবং আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রীকে পরিবারের জিম্মায় দিয়ে আসেন। এ ঘটনায় থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে নিশ্চিত করেছে ধামরাই থানার পুলিশী সূত্র।

এ ব্যাপারে পরকীয়া প্রেমিক রাজমিস্ত্রি মোঃ আব্দুল আলেক মিয়া জানান,এক্ষেত্রে আমার কোন দোষ নেই।শিল্পী আক্তারের স্বামী আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আব্দুল হালিম তাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় দিতে না পারায় সে আমাকে আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তার সঙ্গে পরকীয়ায় জড়াতে বাধ্য করে।
এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতার স্ত্রী শিল্পী আক্তার জানায়,আমার স্বামী মোঃ আব্দুল হালিম তাকে বিয়ে করলেও সে কোন কাবিন রেজিস্ট্রি করেননি।তুমি ব্যস্ত থাকার অজুহাতে আমাকে একদমই সময় দিতে চাননি। কাজেই একাকী থাকার যন্ত্রণা সইতে না পেরে আমি ওই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ি।

এ ব্যাপারে আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আব্দুল হালিম জানান, এ বিষয়ে আমার খুবই লজ্জা হচ্ছে। কাজেই এ নিয়ে আমার কোন কিছু বলার নেই।

ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন,এলাকাবাসী ওই প্রেমিক যুগলকে আটক করে আমাকে খবর দেন। এরপর আমি উপ পুলিশ পরিদর্শক মোহাম্মদ বদরুল আলম ও মোহাম্মদ সজীব তালুকদারকে ঘটনাচলে পাঠাই। তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই পরকীয়া প্রেমিক রাজমিস্ত্রি আব্দুল আলেক মিয়াকে থানায় নিয়ে আসে এবং আওয়ামী লীগের নেতার স্ত্রীকে পরিবারের জিম্মায় রেখে আসন ।এ ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।