মোঃ ফারুক হোসেন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাইয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে খামারির ১১ গরুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক আরো ৫ টি গরু। গবাদিপশু গুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। সবগুলো হলিস্টান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। ষাড় ৩টা, ছোট গাভী ২টা ও ৬টা বড় গাভী মারা গেছে। ছয়টা বড় গাভীই প্রেগন্যান্ট ছিলো।
সোমবার (২১আগষ্ট ) সকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের (বালিয়া) কাজীপাড়া গ্ৰামে”বালিয়া এগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে ১১ গরুর এমন রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকার গরু মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বালিয়া এগ্রো ফার্মে সকালে খাবার দেওয়ার দুই ঘন্টার ব্যবধানে এক এক করে ১১টি গরু মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন খামারের মালিক আসাদ খান।
উদ্দোক্তা আসাদ খান গণমাধ্যমকে জানান, সকালে খাবার দেওয়ার পর থেকে একে একে গরুগুলির মৃত্যু হয়। আমরা গত দুইবছর ধরে একই ধরনের খাবার পরিমানমতো গরুকে খাওয়াচ্ছি। মারা যাবার সময় প্রতিটা গরুর পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে আইনি কোনো পদক্ষেপ নিবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোনো শত্রু নেই। আমি চাইনা আমার প্রতিবেশীরা হয়রানির শিকার হোক। তবে কি কারণে গরুগুলি মারা গেলো এজন্য প্রয়োজনীয় নমুনা (খাবার, গোবর, রক্ত) পরীক্ষা করতে দেবো।
খামারের পরিচর্যাকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৭টায় আমি গরুগুলোকে খাবার দেই। খাবার খাওয়ার সময় সব গরু স্বাভাবিক ছিলো। খাবার খাওয়ানো শেষ করে আমি বাড়ি যাই। ঘন্টাখানেক পরে মামী আমাকে জানায় গরুগুলি ঠাস ঠাস কইরা পইরা মারা যাইতেছে।
এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জানান, আমি কেবলই জানতে পারলাম। আমি এবং ভেটারেনারি সার্জন দুজনই ঢাকাতে কো-অর্ডিনেশন মিটিং এ আছি। ঘটনাস্থলে আমাদের প্রতিনিধি আমার উপসহকারী যাচ্ছে ওখানে কি সমস্যা এবং সেখানকার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে। আমি যতটুকু ধারণা করতেছি নাইট্রেট পয়জনিং হতে পারে, বর্ষাকালীন সময়ে ঘাসে প্রচুর নাইট্রেট থাকে যে জন্য নাইট্রেট পয়জনিং হয়। এর কারণে একসঙ্গে অনেক গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।