ঢাকা , রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ঢাকার ধামরাইয়ে সাদ হত্যা মামলায় দুই আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার Logo টাইম ম্যাগাজিনের ১০০ প্রভাবশালীর তালিকায় নাহিদ ইসলাম Logo ধামরাই থানা ও মন্দির পরিদর্শনে মেজর জেনারেল মোঃ মঈন খান Logo ধামরাইয়ে গুলিতে নিহত সাদ’সহ অন্যান্য বীর শহীদের স্বরণে আলোচনা ও দোয়া মাহফিল Logo ধামরাইয়ে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার ৮০ তম জন্মদিন ও তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দাবিতে বিশাল সমাবেশ Logo রাষ্ট্রের সাথে প্রতারণা, শাস্তি পাবেন ভুয়া মুক্তিযোদ্ধারা : ফারুক-ই-আজম Logo চট্টগ্রামে শেখ হাসিনা-নওফেলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা Logo সম্প্রতি শেরপুরে বজ্রপাতে দুই কৃষকের মৃত্যু Logo ডাটা সেন্টারে আগুনের সাথে ইন্টারনেট বন্ধের কোন সম্পর্ক ছিল না : প্রতিবেদন Logo মিয়ানমারে যুদ্ধাপরাধ বাড়ছে : জাতিসংঘের তদন্ত প্রতিবেদন

ধামরাইয়ে বালিয়া এগ্ৰো ফার্মে রহস্য জনক ১১ গরুর মৃত্যু

 

মোঃ ফারুক হোসেন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকার ধামরাইয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে খামারির ১১ গরুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক আরো ৫ টি গরু। গবাদিপশু গুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। সবগুলো হলিস্টান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। ষাড় ৩টা, ছোট গাভী ২টা ও ৬টা বড় গাভী মারা গেছে। ছয়টা বড় গাভীই প্রেগন্যান্ট ছিলো।

সোমবার (২১আগষ্ট ) সকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের (বালিয়া) কাজীপাড়া গ্ৰামে”বালিয়া এগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে ১১ গরুর এমন রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকার গরু মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বালিয়া এগ্রো ফার্মে সকালে খাবার দেওয়ার দুই ঘন্টার ব্যবধানে এক এক করে ১১টি গরু মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন খামারের মালিক আসাদ খান।

উদ্দোক্তা আসাদ খান গণমাধ্যমকে জানান, সকালে খাবার দেওয়ার পর থেকে একে একে গরুগুলির মৃত্যু হয়। আমরা গত দুইবছর ধরে একই ধরনের খাবার পরিমানমতো গরুকে খাওয়াচ্ছি। মারা যাবার সময় প্রতিটা গরুর পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে আইনি কোনো পদক্ষেপ নিবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোনো শত্রু নেই। আমি চাইনা আমার প্রতিবেশীরা হয়রানির শিকার হোক। তবে কি কারণে গরুগুলি মারা গেলো এজন্য প্রয়োজনীয় নমুনা (খাবার, গোবর, রক্ত) পরীক্ষা করতে দেবো।

খামারের পরিচর্যাকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৭টায় আমি গরুগুলোকে খাবার দেই। খাবার খাওয়ার সময় সব গরু স্বাভাবিক ছিলো। খাবার খাওয়ানো শেষ করে আমি বাড়ি যাই। ঘন্টাখানেক পরে মামী আমাকে জানায় গরুগুলি ঠাস ঠাস কইরা পইরা মারা যাইতেছে।

এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জানান, আমি কেবলই জানতে পারলাম। আমি এবং ভেটারেনারি সার্জন দুজনই ঢাকাতে কো-অর্ডিনেশন মিটিং এ আছি। ঘটনাস্থলে আমাদের প্রতিনিধি আমার উপসহকারী যাচ্ছে ওখানে কি সমস্যা এবং সেখানকার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে। আমি যতটুকু ধারণা করতেছি নাইট্রেট পয়জনিং হতে পারে, বর্ষাকালীন সময়ে ঘাসে প্রচুর নাইট্রেট থাকে যে জন্য নাইট্রেট পয়জনিং হয়। এর কারণে একসঙ্গে অনেক গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

ঢাকার ধামরাইয়ে সাদ হত্যা মামলায় দুই আওয়ামীলীগ নেতা গ্রেপ্তার

ধামরাইয়ে বালিয়া এগ্ৰো ফার্মে রহস্য জনক ১১ গরুর মৃত্যু

আপডেট সময় ০৫:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

 

মোঃ ফারুক হোসেন,স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকার ধামরাইয়ে দুই ঘণ্টার মধ্যে খামারির ১১ গরুর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। আশঙ্কাজনক আরো ৫ টি গরু। গবাদিপশু গুলোর আনুমানিক মূল্য প্রায় ৩০ থেকে ৩৫ লাখ টাকা। সবগুলো হলিস্টান ফ্রিজিয়ান জাতের গরু। ষাড় ৩টা, ছোট গাভী ২টা ও ৬টা বড় গাভী মারা গেছে। ছয়টা বড় গাভীই প্রেগন্যান্ট ছিলো।

সোমবার (২১আগষ্ট ) সকালে উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের (বালিয়া) কাজীপাড়া গ্ৰামে”বালিয়া এগ্রো ফার্মে এ ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে ১১ গরুর এমন রহস্যজনক মৃত্যুতে এলাকার গরু মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

বালিয়া এগ্রো ফার্মে সকালে খাবার দেওয়ার দুই ঘন্টার ব্যবধানে এক এক করে ১১টি গরু মারা গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন খামারের মালিক আসাদ খান।

উদ্দোক্তা আসাদ খান গণমাধ্যমকে জানান, সকালে খাবার দেওয়ার পর থেকে একে একে গরুগুলির মৃত্যু হয়। আমরা গত দুইবছর ধরে একই ধরনের খাবার পরিমানমতো গরুকে খাওয়াচ্ছি। মারা যাবার সময় প্রতিটা গরুর পায়খানার রাস্তা দিয়ে রক্ত দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে আইনি কোনো পদক্ষেপ নিবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার কোনো শত্রু নেই। আমি চাইনা আমার প্রতিবেশীরা হয়রানির শিকার হোক। তবে কি কারণে গরুগুলি মারা গেলো এজন্য প্রয়োজনীয় নমুনা (খাবার, গোবর, রক্ত) পরীক্ষা করতে দেবো।

খামারের পরিচর্যাকারী সাদ্দাম হোসেন বলেন, প্রতিদিনের ন্যায় সকাল ৭টায় আমি গরুগুলোকে খাবার দেই। খাবার খাওয়ার সময় সব গরু স্বাভাবিক ছিলো। খাবার খাওয়ানো শেষ করে আমি বাড়ি যাই। ঘন্টাখানেক পরে মামী আমাকে জানায় গরুগুলি ঠাস ঠাস কইরা পইরা মারা যাইতেছে।

এ ব্যাপারে ধামরাই উপজেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জানান, আমি কেবলই জানতে পারলাম। আমি এবং ভেটারেনারি সার্জন দুজনই ঢাকাতে কো-অর্ডিনেশন মিটিং এ আছি। ঘটনাস্থলে আমাদের প্রতিনিধি আমার উপসহকারী যাচ্ছে ওখানে কি সমস্যা এবং সেখানকার প্রয়োজনীয় নমুনা সংগ্রহ করবে। আমি যতটুকু ধারণা করতেছি নাইট্রেট পয়জনিং হতে পারে, বর্ষাকালীন সময়ে ঘাসে প্রচুর নাইট্রেট থাকে যে জন্য নাইট্রেট পয়জনিং হয়। এর কারণে একসঙ্গে অনেক গরু মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।