ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট-মার্কসশিট বিক্রির অভিযোগে ৪ জন গ্রেফতার

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট-মার্কসশিট বিক্রির অভিযোগে ৪ জন গ্রেফতার

অবৈধভাবে নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জিয়াউর রহমান, নুরুন্নাহার মিতু, ইয়াসিন আলী ও বুলবুল আহমেদ বিপু।
ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার ও আজ রাজধানীর রামপুরা ও লালবাগ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু জাল সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, অনেকদিন ধরেই এই অসাধু চক্র টাকার বিনিময়ে চলমান ও বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট, বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বিক্রয় করছিলো। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামপুরা এলাকা থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু জাল সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে, শুক্রবার সকালে লালবাগ থানার বড়ঘাট মসজিদ এলাকার কাশ্মীরি গলির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী ও দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির পরিচালক বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে সংগ্রহ করা ব্ল্যাংক মার্কসশিট ও সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাগজ দিয়েই মার্কসশিট ও সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করতো। এরপর সেগুলো কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনলাইনে অন্তর্ভূক্ত করতো, যাতে করে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সত্যতা পাওয়া যায়।
নুরুন্নাহার মিতু ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্রিন টিভি বাংলা

গ্রিন টিভি বাংলার একটি সম্পূর্ন অনলাইন ফেজবুক,ইউটিউব, নিউজপোর্টাল ভিক্তিক টিভি চ্যানেল । যে কোন বিষয় মতামত দিয়ে আমাদেকে সহযোগিতা করুন এবং নিউজ পড়ুন বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন

বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট-মার্কসশিট বিক্রির অভিযোগে ৪ জন গ্রেফতার

আপডেট সময় ০৮:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৫ মে ২০২৩

অবৈধভাবে নামি-দামি বিশ্ববিদ্যালয়ের জাল সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট বিক্রির অভিযোগে রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- জিয়াউর রহমান, নুরুন্নাহার মিতু, ইয়াসিন আলী ও বুলবুল আহমেদ বিপু।
ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার ও আজ রাজধানীর রামপুরা ও লালবাগ এলাকায় ধারাবাহিক অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু জাল সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট জব্দ করা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া গোয়েন্দা-লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মশিউর রহমান বলেন, অনেকদিন ধরেই এই অসাধু চক্র টাকার বিনিময়ে চলমান ও বন্ধ হয়ে যাওয়া বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট, বিভিন্ন বোর্ডের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সার্টিফিকেট ও মার্কশিট বিক্রয় করছিলো। এমন তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রামপুরা এলাকা থেকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান ও তার স্ত্রী নুরুন্নাহার মিতুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে বেশকিছু জাল সার্টিফিকেট ও মার্কসশিট জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য মতে, শুক্রবার সকালে লালবাগ থানার বড়ঘাট মসজিদ এলাকার কাশ্মীরি গলির একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ইয়াসিন আলী ও দারুল ইহসান ইউনিভার্সিটির পরিচালক বুলবুল আহমেদ বিপুকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, বিভিন্ন ইউনিভার্সিটি থেকে সংগ্রহ করা ব্ল্যাংক মার্কসশিট ও সার্টিফিকেট উদ্ধার করা হয়।
তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বোর্ড ও বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল কাগজ দিয়েই মার্কসশিট ও সার্টিফিকেট তৈরি করে বিক্রি করতো। এরপর সেগুলো কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনলাইনে অন্তর্ভূক্ত করতো, যাতে করে অনলাইন ভেরিফিকেশনে সত্যতা পাওয়া যায়।
নুরুন্নাহার মিতু ছাড়া অন্যদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলার রয়েছে বলেও জানান গোয়েন্দা পুলিশের এ কর্মকর্তা।