ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জব্বারের বলী খেলা ফিরছে লালদিঘি ময়দানে, থাকছে চাঁটগাইয়া উৎসব

জব্বারের বলী খেলা ফিরছে লালদিঘি ময়দানে, থাকছে চাঁটগাইয়া উৎসব

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা লালদিঘি ময়দানে ফেরানোর পাশাপাশি একদিনের জন্য বিশেষ ‘চাঁটগাইয়া উৎসব’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আজ বুধবার এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে বলী খেলার মাঠ পরিদর্শন এবং ট্রফি, জার্সি ও থিম সং উন্মোচন করেন সিটি মেয়র। আসন্ন ১১৪ তম আসরের তিন দিনব্যাপী মেলা বসবে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

লালদিঘিস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর। লালদিঘির সড়কে তিনদিন বৈশাখী মেলা হবে। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের অংশ চট্টলাবাসীর গর্বের জব্বারের বলী খেলার আয়োজনে কোনো কিছুর কমতি থাকবে না।

আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ জানান, ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল বলী খেলার মেলা থাকবে। ২৫ এপ্রিল হবে বলী খেলা। তিন দিনব্যাপী মেলা বসবে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। বলী খেলা লালদিঘির মাঠেই হবে। তবে মাঠের ছয় দফা মঞ্চ উন্মুক্ত থাকবে। বাঁশ ও বালি দিয়ে মাঠে বলী খেলার মঞ্চ (রিং) তৈরি হচ্ছে। ২৬ এপ্রিল হবে চাঁটগাইয়া ঈদ উৎসব। মেলা হবে মাঠের বাইরে।
এদিকে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল, ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিল হাসান মুরাদ বিপ্লব এবং সংগীত শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের প্রমুখ। প্রসঙ্গত ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে জব্বারের বলী খেলা ও মেলার আয়োজন হয়নি। সে হিসেবে তিন বছর পর লালদিঘির মাঠে ফিরছে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বক্সিরহাট এলাকার স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর নগরীর লালদিঘি মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা, যা সময়ের পরিক্রমায় জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিত। পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখের ১২ তারিখে লালদিঘির ময়দানে বলী খেলা হয়। এই উপলক্ষে তিনদিন ধরে চলে মেলা।

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্রিন টিভি বাংলা

গ্রিন টিভি বাংলার একটি সম্পূর্ন অনলাইন ফেজবুক,ইউটিউব, নিউজপোর্টাল ভিক্তিক টিভি চ্যানেল । যে কোন বিষয় মতামত দিয়ে আমাদেকে সহযোগিতা করুন এবং নিউজ পড়ুন বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন

জব্বারের বলী খেলা ফিরছে লালদিঘি ময়দানে, থাকছে চাঁটগাইয়া উৎসব

আপডেট সময় ০৭:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৩

চট্টগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা লালদিঘি ময়দানে ফেরানোর পাশাপাশি একদিনের জন্য বিশেষ ‘চাঁটগাইয়া উৎসব’ আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী।
আজ বুধবার এক বর্ণাঢ্য আয়োজনে বলী খেলার মাঠ পরিদর্শন এবং ট্রফি, জার্সি ও থিম সং উন্মোচন করেন সিটি মেয়র। আসন্ন ১১৪ তম আসরের তিন দিনব্যাপী মেলা বসবে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

লালদিঘিস্থ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মেয়র বলেন, চট্টগ্রামের ইতিহাস ও ঐতিহ্য রক্ষায় আমি বদ্ধপরিকর। লালদিঘির সড়কে তিনদিন বৈশাখী মেলা হবে। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের অংশ চট্টলাবাসীর গর্বের জব্বারের বলী খেলার আয়োজনে কোনো কিছুর কমতি থাকবে না।

আব্দুল জব্বার স্মৃতি কুস্তি প্রতিযোগিতা ও বৈশাখী মেলা কমিটির সহ-সভাপতি সাংবাদিক চৌধুরী ফরিদ জানান, ২৪, ২৫ ও ২৬ এপ্রিল বলী খেলার মেলা থাকবে। ২৫ এপ্রিল হবে বলী খেলা। তিন দিনব্যাপী মেলা বসবে কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে। বলী খেলা লালদিঘির মাঠেই হবে। তবে মাঠের ছয় দফা মঞ্চ উন্মুক্ত থাকবে। বাঁশ ও বালি দিয়ে মাঠে বলী খেলার মঞ্চ (রিং) তৈরি হচ্ছে। ২৬ এপ্রিল হবে চাঁটগাইয়া ঈদ উৎসব। মেলা হবে মাঠের বাইরে।
এদিকে ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেলা আয়োজক কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার বাদল, ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিল হাসান মুরাদ বিপ্লব এবং সংগীত শিল্পী আলাউদ্দিন তাহের প্রমুখ। প্রসঙ্গত ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনার কারণে জব্বারের বলী খেলা ও মেলার আয়োজন হয়নি। সে হিসেবে তিন বছর পর লালদিঘির মাঠে ফিরছে ঐতিহাসিক জব্বারের বলী খেলা।
ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে যুব সমাজকে সংগঠিত করতে ১৯০৯ সালে বক্সিরহাট এলাকার স্থানীয় আব্দুল জব্বার সওদাগর নগরীর লালদিঘি মাঠে আয়োজন করেন কুস্তি প্রতিযোগিতা, যা সময়ের পরিক্রমায় জব্বারের বলী খেলা নামে পরিচিত। পঞ্জিকা অনুসারে বৈশাখের ১২ তারিখে লালদিঘির ময়দানে বলী খেলা হয়। এই উপলক্ষে তিনদিন ধরে চলে মেলা।