ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রেকর্ড ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা : টানা ১১ দিন

চুয়াডাঙ্গার সহ সমগ্র বাংলাদেশে অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ। টানা ১১ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আর এই টানা তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এখানের জনজীবন।

বুধবার (১২ এপ্রিল) দে‌শের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস রেকর্ড করা হ‌য় এ জেলায়।

বুধবার বিকেল ৫টায় জেলা আবহাওয়া অফিস সূ‌ত্রে এ তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া যায়। এটি চলতি মৌসুমের জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ১০ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গাতে। গত ৯ দিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছি‌ল রোববার ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার ৩৯ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস, সোমবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে প্রথমে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর তা মাঝারি তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে। এ ধারা আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। গরমের মৌসুমে একটানা এতদিন ধরে এক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়া বিরল।

তিনি আরো জানান, গত বছর জানুয়ারি মাস থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে গেছে। আবার আদ্রতা কম থাকার কারণে মেঘ তৈরি কম হচ্ছে। যার ফলে হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড় ছাড়া সাধারণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই।

সারাদেশে টানা মৃদু থেকে মাঝারি তাপ প্রবাহে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। রোজায় দীর্ঘ সময় পানি না খাওয়া অবস্থায় প্রচুর ঘাম হলে শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। হতে পারে হিট স্ট্রোক। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগসহ নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তাপ প্রবাহ আরো পাঁচদিন অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মোঃ আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে সব বয়সের মানুষকে। রোজাদার ব্যক্তিরা রোজা রেখে বাইরে যাচ্ছেন। তীব্র গরমে বেশি ঘাম হলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। আবার যারা রোজা রাখছেন না, তারা বাইরের খোলা খাবার, শরবত, ঠান্ডা পানি খেয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এই তাপপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট তীব্র গরমে মানুষের শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের হৃদপিণ্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এ থেকে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এই অবস্থাকে বলা হয়, হিট স্ট্রোক। এ পরিস্থিতির শিকার হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়াময় স্থানে নিয়ে যেতে হবে। সম্ভব হলে শীতলতম স্থানে নিয়ে যেতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে। চোখেমুখে পানি দিতে তবে। পাশাপাশি স্যালাইন এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাতে হবে।

তিনি এ পরিস্থিতিতে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে বাইরের খাবার, শরবত, পানি, বরফ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরমর্শ দেন। এ সময় বাইরে যাওয়ার সময় ঘর থেকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সাথে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মামস, জলবসন্ত, ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়ে যায়। বয়স্ক, শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন- গর্ভবতীদের মধ্যে এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

ইতোমধ্যেই দেশে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে ডা. লেলিন এ সময় বয়স্ক, শিশু ও গর্ভবতীদের বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে সুতি কাপড় পরা, বাসার খাবার ও পানি সাথে রাখার পরামর্শও দেন।

তিনি বলেন, এ সময় শিশুদের মধ্যে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ থেকে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তাই এসময় শিশুদের ঘরের বাইরে না যাওয়া, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ও বরফ খাওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সূত্র : বাসস


ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্রিন টিভি বাংলা

গ্রিন টিভি বাংলার একটি সম্পূর্ন অনলাইন ফেজবুক,ইউটিউব, নিউজপোর্টাল ভিক্তিক টিভি চ্যানেল । যে কোন বিষয় মতামত দিয়ে আমাদেকে সহযোগিতা করুন এবং নিউজ পড়ুন বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন

রেকর্ড ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা : টানা ১১ দিন

আপডেট সময় ০৯:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৩

চুয়াডাঙ্গার সহ সমগ্র বাংলাদেশে অব্যাহত রয়েছে তাপপ্রবাহ। টানা ১১ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে এ জেলায়। আর এই টানা তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এখানের জনজীবন।

বুধবার (১২ এপ্রিল) দে‌শের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস রেকর্ড করা হ‌য় এ জেলায়।

বুধবার বিকেল ৫টায় জেলা আবহাওয়া অফিস সূ‌ত্রে এ তাপমাত্রার রেকর্ড পাওয়া যায়। এটি চলতি মৌসুমের জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায় মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) পর্যন্ত টানা ১০ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গাতে। গত ৯ দিন চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা ছি‌ল রোববার ৩৩ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সোমবার ৩৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, মঙ্গলবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বৃহস্পতিবার ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, শুক্রবার ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, রবিবার ৩৯ ডিগ্রি সেল‌সিয়াস, সোমবার ৩৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বুধবার ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজ বুধবার ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে প্রথমে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার পর তা মাঝারি তাপপ্রবাহে রুপ নিয়েছে। এ ধারা আরো কিছুদিন অব্যাহত থাকবে। গরমের মৌসুমে একটানা এতদিন ধরে এক জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হওয়া বিরল।

তিনি আরো জানান, গত বছর জানুয়ারি মাস থেকেই বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। কিন্তু এবার এখন পর্যন্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনা দেখা যাচ্ছে না। বৃষ্টি না থাকার কারণে বাতাসে আদ্রতার পরিমাণ কমে গেছে। আবার আদ্রতা কম থাকার কারণে মেঘ তৈরি কম হচ্ছে। যার ফলে হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড় ছাড়া সাধারণ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই।

সারাদেশে টানা মৃদু থেকে মাঝারি তাপ প্রবাহে বাড়ছে স্বাস্থ্য ঝুঁকি। রোজায় দীর্ঘ সময় পানি না খাওয়া অবস্থায় প্রচুর ঘাম হলে শরীরে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। হতে পারে হিট স্ট্রোক। এ অবস্থায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞগণ।

বুধবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট বিভাগসহ নীলফামারী জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। গত ১০ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া তাপ প্রবাহ আরো পাঁচদিন অব্যাহত থাকবে।

আবহাওয়াবিদ মোঃ আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী ৭২ ঘণ্টায় মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের এই তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময়ে বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই।

আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে কেনাকাটার প্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের হতে হচ্ছে সব বয়সের মানুষকে। রোজাদার ব্যক্তিরা রোজা রেখে বাইরে যাচ্ছেন। তীব্র গরমে বেশি ঘাম হলে শরীরে পানি শূন্যতা দেখা দিতে পারে। আবার যারা রোজা রাখছেন না, তারা বাইরের খোলা খাবার, শরবত, ঠান্ডা পানি খেয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন নানা রোগে।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, এই তাপপ্রবাহের ফলে সৃষ্ট তীব্র গরমে মানুষের শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে পানি শূন্যতা তৈরি হতে পারে। শরীর থেকে পানি বের হয়ে যাওয়ার ফলে মানুষের হৃদপিণ্ড ও নাড়ির গতি বেড়ে যায়। এ থেকে মাথা ঘোরা বা বমি বমি ভাব হতে পারে। অনেক সময় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো ঘটনাও ঘটে। এই অবস্থাকে বলা হয়, হিট স্ট্রোক। এ পরিস্থিতির শিকার হলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে দ্রুত ছায়াময় স্থানে নিয়ে যেতে হবে। সম্ভব হলে শীতলতম স্থানে নিয়ে যেতে হবে। শরীরের কাপড় ঢিলে করে দিতে হবে। চোখেমুখে পানি দিতে তবে। পাশাপাশি স্যালাইন এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রার পানি পান করাতে হবে।

তিনি এ পরিস্থিতিতে শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে বাইরের খাবার, শরবত, পানি, বরফ খাওয়া থেকে বিরত থাকার পরমর্শ দেন। এ সময় বাইরে যাওয়ার সময় ঘর থেকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সাথে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি বলেন, প্রচণ্ড গরমে কিছু ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে মামস, জলবসন্ত, ডায়রিয়ায় আক্রান্তের হার বেড়ে যায়। বয়স্ক, শিশু এবং যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম যেমন- গর্ভবতীদের মধ্যে এসব রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।

ইতোমধ্যেই দেশে এ ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পেয়েছে উল্লেখ করে ডা. লেলিন এ সময় বয়স্ক, শিশু ও গর্ভবতীদের বিনা প্রয়োজনে ঘরের বাইরে যাওয়া থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেন। জরুরি প্রয়োজনে বাইরে গেলে সুতি কাপড় পরা, বাসার খাবার ও পানি সাথে রাখার পরামর্শও দেন।

তিনি বলেন, এ সময় শিশুদের মধ্যে রোটা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এ থেকে নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। তাই এসময় শিশুদের ঘরের বাইরে না যাওয়া, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি ও বরফ খাওয়া থেকে বিরত রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

সূত্র : বাসস