ঢাকা , শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ২২ আষাঢ় ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধামরাইয়ে নিরাপদ সড়ক চাই শাখার কমিটি গঠন শপথ গ্রহণ আলোচনা সভা Logo খাগড়াছড়িতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রাসেল নামে ফায়ার সার্ভিস কর্মী নিহত Logo ধামরাই উপজেলার সানোড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান সকলের কাছে দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী। Logo এমপি বেনজীর আহমদ এর পক্ষ থেকে পবিত্র ঈদ-উল ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন আহাম্মদ আলী Logo ধামরাই বাসিকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছে মোঃ রফিকুল ইসলাম (নপু) Logo রাজধানীতে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৩৭ লাখ টাকা জরিমানা Logo জুনের মধ্যে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে : প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী Logo ট্যানারী শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করার দাবি Logo সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে Logo ঈদের ছুটির আগে সব সেক্টরের শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেয়ার সিদ্ধান্ত

শুধু ক্লান্তি কাটাতে নয়, বিপাক প্রক্রিয়াও উন্নত করতে কফি ভূমিকা রাখে।

খাবার গ্রহণ করা থেকে শুরু করে হজম হওয়া, খাবার থেকে শক্তি বানিয়ে কোষে কোষে পৌঁছে যাওয়া- এরকম যাবতীয় কাজের সমন্বয় হল বিপাক প্রক্রিয়া। আর এই কাজের গতি ধীর হলে নানান সমস্যা শুরু হয়।

এক্ষেত্রে কফি উপকারী ভূমিকা রাখে বলে জানান, মার্কিন চিকিৎসক ও ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক সেন্টার ফর ফাংশনাল মেডিসিন’য়ের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক উইলিয়াম ডব্লিউ লি.

মাইন্ডবডিগ্রিন ডটকম’য়ের সম্প্রচারিত একটি পডকাস্টের পর্বে তিনি, কফিকে উচ্চ শ্রেণীর বিপাক বর্ধক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন।

কফি কি বিপাক বাড়ায়?

ডা. লি বলেন, “কফিতে রয়েছে কিছু ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা বিপাক বাড়ানোর পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখে। এটা সংবহনতন্ত্র রক্ষা করে এবং বিপাক বাড়াতেও সহায়তা করে।”

‘এভিডেন্স-বেইজড কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ইয়োনসেই ইউনিভার্সিটি’র করা গবেষণায় দেখা গেছে, কফি এবং গ্রিন কফি (ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ) ওজন কমাতে এবং দেহের ইন্সুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

অন্যদিকে ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের করা আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল নারী প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করেন তাদের অন্যদের তুলনায় দ্রুত ওজন কমে।

‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিপাকীয় সিন্ড্রোম’য়ের ওপর আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা দৈনিক এক কাপের কম কফি পান করেছেন, তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন তিন কাপের বেশি কফি পান করেন, এদের বরং বিএমআই, কোমড়ের মাপ, রক্তচাপ এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কম হতে দেখা গেছে।

বলা যায়, কফি বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে। ডা. লি কফিকে তার মূল বিপাক বর্ধক হিসেবে বিবেচনা করেন।

কফি নিজেই শক্তি খরচ বর্ধনের দিক থেকে ক্লিনিক্যালি পরিচিত। এটা শক্তি ব্যবহার (ক্যালরি খরচ), থার্মোজেনিক ফ্যাট বার্ন (লিপোলাইসিস) এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

তাই ওজন কমাতে চাইলে বিপাক বর্ধক সম্পূরক কফি গ্রহণ উপকারী।

বিপাক বাড়াতে কফি পানের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক কফি খেতে হবে। এতে কৃত্রিম স্বাদ বা চিনি যোগ করা যাবে না।

মনে রাখা প্রয়োজন

ডা. লি’য়ের মতে, কিছু খাবার বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তিনি এক্ষেত্রে কফিকে বিপাক বর্ধক হিসেবে বিবেচনা করেন।

তবে, একেকজনের খাদ্যাভ্যাস এক এক রকম হওয়ার কারণে তিনি ব্যক্তিভেদে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করার দিকে গুরুত্ব দেন।

 

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্রিন টিভি বাংলা

গ্রিন টিভি বাংলার একটি সম্পূর্ন অনলাইন ফেজবুক,ইউটিউব, নিউজপোর্টাল ভিক্তিক টিভি চ্যানেল । যে কোন বিষয় মতামত দিয়ে আমাদেকে সহযোগিতা করুন এবং নিউজ পড়ুন বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন
জনপ্রিয় সংবাদ

ধামরাইয়ে নিরাপদ সড়ক চাই শাখার কমিটি গঠন শপথ গ্রহণ আলোচনা সভা

শুধু ক্লান্তি কাটাতে নয়, বিপাক প্রক্রিয়াও উন্নত করতে কফি ভূমিকা রাখে।

আপডেট সময় ১২:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৫ এপ্রিল ২০২৩

খাবার গ্রহণ করা থেকে শুরু করে হজম হওয়া, খাবার থেকে শক্তি বানিয়ে কোষে কোষে পৌঁছে যাওয়া- এরকম যাবতীয় কাজের সমন্বয় হল বিপাক প্রক্রিয়া। আর এই কাজের গতি ধীর হলে নানান সমস্যা শুরু হয়।

এক্ষেত্রে কফি উপকারী ভূমিকা রাখে বলে জানান, মার্কিন চিকিৎসক ও ‘ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক সেন্টার ফর ফাংশনাল মেডিসিন’য়ের জ্যেষ্ঠ পরামর্শক উইলিয়াম ডব্লিউ লি.

মাইন্ডবডিগ্রিন ডটকম’য়ের সম্প্রচারিত একটি পডকাস্টের পর্বে তিনি, কফিকে উচ্চ শ্রেণীর বিপাক বর্ধক হিসেবে সংজ্ঞায়িত করেন।

কফি কি বিপাক বাড়ায়?

ডা. লি বলেন, “কফিতে রয়েছে কিছু ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড যা বিপাক বাড়ানোর পাশাপাশি শরীর সুস্থ রাখে। এটা সংবহনতন্ত্র রক্ষা করে এবং বিপাক বাড়াতেও সহায়তা করে।”

‘এভিডেন্স-বেইজড কমপ্লিমেন্টারি অ্যান্ড অল্টারনেটিভ মেডিসিন’ সাময়িকীতে প্রকাশিত দক্ষিণ কোরিয়ার ‘ইয়োনসেই ইউনিভার্সিটি’র করা গবেষণায় দেখা গেছে, কফি এবং গ্রিন কফি (ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ) ওজন কমাতে এবং দেহের ইন্সুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।

অন্যদিকে ‘ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন’য়ের করা আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, যে সকল নারী প্রতিদিন দুই থেকে তিন কাপ কফি পান করেন তাদের অন্যদের তুলনায় দ্রুত ওজন কমে।

‘ইউরোপিয়ান জার্নাল অব নিউট্রিশন’য়ে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিপাকীয় সিন্ড্রোম’য়ের ওপর আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে, অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যারা দৈনিক এক কাপের কম কফি পান করেছেন, তাদের তুলনায় যারা প্রতিদিন তিন কাপের বেশি কফি পান করেন, এদের বরং বিএমআই, কোমড়ের মাপ, রক্তচাপ এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কম হতে দেখা গেছে।

বলা যায়, কফি বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে। ডা. লি কফিকে তার মূল বিপাক বর্ধক হিসেবে বিবেচনা করেন।

কফি নিজেই শক্তি খরচ বর্ধনের দিক থেকে ক্লিনিক্যালি পরিচিত। এটা শক্তি ব্যবহার (ক্যালরি খরচ), থার্মোজেনিক ফ্যাট বার্ন (লিপোলাইসিস) এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

তাই ওজন কমাতে চাইলে বিপাক বর্ধক সম্পূরক কফি গ্রহণ উপকারী।

বিপাক বাড়াতে কফি পানের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব স্বাভাবিক কফি খেতে হবে। এতে কৃত্রিম স্বাদ বা চিনি যোগ করা যাবে না।

মনে রাখা প্রয়োজন

ডা. লি’য়ের মতে, কিছু খাবার বিপাক বাড়াতে সহায়তা করে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখে। তিনি এক্ষেত্রে কফিকে বিপাক বর্ধক হিসেবে বিবেচনা করেন।

তবে, একেকজনের খাদ্যাভ্যাস এক এক রকম হওয়ার কারণে তিনি ব্যক্তিভেদে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ গ্রহণ করার দিকে গুরুত্ব দেন।