ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কারামুক্তির পর যা বললেন শামসুজ্জামান

ছয় দিনের মাথায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান। সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ছয়টার পর কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় তার সহকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এসময় কারা ফটকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা শামসুজ্জামানের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান।

শামসুজ্জামান বলেন, আমি একটু বিধ্বস্ত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। সে জায়গা থেকে আমি এখন বের হয়ে এসেছি। সব মিলিয়ে এখন ভালো লাগছে।

কারামুক্তির পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, আমার অফিস থেকে শুরু করে দেশের সাংবাদিক সমাজ, আমার ক্যাম্পাসের ছোট ভাইয়েরা, যারা আমার সঙ্গে সব সময় ছিলেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়, আনন্দের বিষয়। এটা আমাকে শক্তি জুগিয়েছে। তারা সবাই সত্যের পাশে ছিলেন। আমার ভাষ্যটি বাইরে থেকে আমি পেয়েছি, মানুষের মুখ থেকে পেয়েছি। আমার কিছু বলার প্রয়োজন হয়নি।

গত ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৯ মার্চ আবদুল মশিউর মালেক নামে এক আইনজীবী বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

একই মামলায় গতকাল রোববার (২ এপ্রিল) বিকেলে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।

 

গত ২৯ মার্চ মধ্যরাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক মশিউর। একই মামলায় পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন আবদুল মালেক।

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপলোডকারীর তথ্য

গ্রিন টিভি বাংলা

গ্রিন টিভি বাংলার একটি সম্পূর্ন অনলাইন ফেজবুক,ইউটিউব, নিউজপোর্টাল ভিক্তিক টিভি চ্যানেল । যে কোন বিষয় মতামত দিয়ে আমাদেকে সহযোগিতা করুন এবং নিউজ পড়ুন বিজ্ঞাপন দিয়ে আমাদের সাথে থাকুন

কারামুক্তির পর যা বললেন শামসুজ্জামান

আপডেট সময় ১১:০২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল ২০২৩

ছয় দিনের মাথায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় জামিনে কারাগার থেকে মুক্ত হয়েছেন সাভারে কর্মরত প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামান। সোমবার (৩ এপ্রিল) সন্ধ্যা ছয়টার পর কেরানীগঞ্জে ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এ সময় তার সহকর্মীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন।

এসময় কারা ফটকেই বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাংবাদিকরা শামসুজ্জামানের কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চান।

শামসুজ্জামান বলেন, আমি একটু বিধ্বস্ত, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলাম। সে জায়গা থেকে আমি এখন বের হয়ে এসেছি। সব মিলিয়ে এখন ভালো লাগছে।

কারামুক্তির পর অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে শামসুজ্জামান বলেন, আমার অফিস থেকে শুরু করে দেশের সাংবাদিক সমাজ, আমার ক্যাম্পাসের ছোট ভাইয়েরা, যারা আমার সঙ্গে সব সময় ছিলেন। এটা আমার জন্য সৌভাগ্যের বিষয়, আনন্দের বিষয়। এটা আমাকে শক্তি জুগিয়েছে। তারা সবাই সত্যের পাশে ছিলেন। আমার ভাষ্যটি বাইরে থেকে আমি পেয়েছি, মানুষের মুখ থেকে পেয়েছি। আমার কিছু বলার প্রয়োজন হয়নি।

গত ৩০ মার্চ শামসুজ্জামানকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রমনা মডেল থানার পরিদর্শক আবু আনছার। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার জামিনের আবেদন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

গত ২৯ মার্চ আবদুল মশিউর মালেক নামে এক আইনজীবী বাদী হয়ে রাজধানীর রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, পত্রিকাটির সাভারের নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামস, সহযোগী একজন ক্যামেরাম্যানসহ অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

একই মামলায় গতকাল রোববার (২ এপ্রিল) বিকেলে প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমানকে ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল, জেড আই খান পান্না, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও প্রশান্ত কুমার কর্মকার। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি।

 

গত ২৯ মার্চ মধ্যরাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) রমনা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা করেন অ্যাডভোকেট আবদুল মালেক মশিউর। একই মামলায় পত্রিকাটির নিজস্ব প্রতিবেদক শামসুজ্জামান শামসকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া আসামিদের মধ্যে ‘সহযোগী ক্যামেরাম্যান’সহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরাও রয়েছেন।

রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও সুনাম ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ৩১ ও ৩৫ ধারায় মামলাটি দায়ের করেন আবদুল মালেক।

মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর জন্য উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছেন।