জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার ফুলদীঘি বাজারে মুরগির মাংস কিনতে এসেছেন মোশারফ হোসেন। তার বাড়ি ফুলদীঘি বাজার থেকে আড়াই কিলোমিটার দূরে দৌলতপুর গ্রামে। ভ্যানচালক মোশারফ হোসেনের বাড়ির কাছে দোকান আছে। তারপরও এতটা পথ পাড়ি দিয়ে এ ফুলদীঘিতে আসার কারণ- এ দোকান থেকে তিনি চাইলে কয়েক টুকরা মাংস কিনতে পারবেন।
মোশারফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘হামি (আমি) তো ভ্যান চালিয়ে খাই, হামার (আমার) তো গোটা মুরগি কিনতে গেলে সারাদিনের কামাই সব শেষ হবে। অন্য তয়তরকারী কি দিয়ে কিনমু, এক পোয়া (২৫০ গ্রাম) মুরগির গোস্ত কিনতে এখানে আসলাম।
মোশারফ হোসেনের মতো অনেক নিম্নবিত্ত মানুষের সাধ মেটাচ্ছে এসব দোকান। শুধু ক্ষেতলালে নয়, দেশের অনেক জায়গায় দোকানগুলো তৈরি হয়েছে। এ বিশেষ ধরনের দোকানগুলোর নাম ‘প্রাণিসম্পদ পণ্য বিক্রয়কেন্দ্র’। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে মুরগিসহ সব ধরনের মাংসের দাম নিম্নবিত্তের নাগালের বাইরে। তাই এসব দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে প্রতিদিন। রমজানে বেশি বেচাকেনা হচ্ছে।
দোকান মালিক সামছুদ্দিন সরদার জাগো নিউজকে বলেন, আমার এ কাটা মাংসের দোকান ভালই চলছে। রমজানের আগে যে রকম বিক্রি হয়েছে তার চেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে এখন। আগে প্রতিদিন ২০-২৫ জন ক্রেতা দোকানে আসতো সেখানে এখন ৩০-৪০ পর্যন্ত ক্রেতা আসছেন।
তিনি বলেন, যাদের গোটা মুরগি কেনার সাধ্য নেই তারা সহজেই এ অল্প মাংস কিনতে পারছেন। আজকে কাটা মুরগির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৩৩০ টাকায় আর গোটা মুরগির কেজি বিক্রি করছেন ২২০ টাকা।