মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাইয়ের এগ্রো ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খানের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল ১১টি গরুর মৃত্যুতে, গরুর মৃত্যুর জন্য মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানোর কারণেই হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাহান।
গত ২১ আগস্ট ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া কাজীপাড়া গ্রামের আসাদ অ্যাগ্রো ফার্মে গরু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওইদিন গরুগুলো মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানতে গরুগুলোকে খাওয়ানো কাঁচা ঘাস, দানাদার খাবার, গোবর, রক্ত, কলিজা, ফুসফুসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার সেন্ট্রাল ডিজিজ ইনভেস্টিগেশন ল্যাবে (সিডিআইএল) পাঠানো হয়।
পরীক্ষার রিপোর্টে তর্কা ও বাদলা নেগেটিভ আসে। পরীক্ষায় রক্তে, কলিজায়, লিভারে ইউরিয়ার মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে। ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খান বলেন, গত ২১ আগস্ট আমার ফার্মে ১৬টি হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুকে সকাল ৭টার দিকে ফার্মের কেয়ারটেকার সাদ্দাম হোসেন প্রতিদিনের মতো একই ধরনের খাবার (দানাদার খাবার, ভূষি, কুড়া) দেয়। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ষাড়, দুটি বকনা ও ৬টি গর্ভবতী গাভী মারা যায়। এতে আমার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জাহান জানান, সাধারণত গরুকে ২৪ ঘণ্টায় এক কেজি খাবারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ গ্রাম ইউরিয়া খাওয়ানো যায়। তবে কোনোভাবেই গর্ভবতী গাভীকে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না। মৃত গরুগুলোর খাবার পরীক্ষায় আমরা প্রতিকেজি খাবারে ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম ইউরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে খামারির সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, গরুগুলোকে ২৪ ঘণ্টায় দুইবার ইউরিয়া খাওয়ানো হয়েছে এবং গর্ভবতী গাভিকেও একই মাত্রায় ইউরিয়া খাওয়ানো হয়েছে। এ কারণেই নিশ্চিত হয়েছি যে, মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানোর কারণেই গরুগুলো মারা গেছে।