ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ধামরাইয়ে আমেনা-নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুস্থ গরীব এতিমদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ Logo ধামরাইয়ে বালু কাটার অবৈধ ড্রেজার মেশিন জব্দ Logo ধামরাইয়ে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষ নিহত ২ Logo প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান ব্যাডমিন্টন টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত Logo ধামরাই সানোড়া ইউনিয়নে বিএনপির বিশাল জনসভা Logo স্ত্রীর লাশ নিয়ে বাড়ী ফেরার পথে লাশ হলেন স্বামী Logo ধামরাইয়ে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ Logo ধামরাইয়ে বাস খাদে পড়ে হেলপার নিহত আহত অর্ধশতাধিক Logo ঢাকার ধামরাইয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার তিন ডাকাত Logo ধামরাইয়ে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

খাবারের সাথে অতিরিক্ত ইউরিয়া প্রয়োগে সেই ১১ গরুর মৃত্যু

 

মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাইয়ের এগ্রো ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খানের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল ১১টি গরুর মৃত্যুতে, গরুর মৃত্যুর জন্য মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানোর কারণেই হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাহান।

গত ২১ আগস্ট ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া কাজীপাড়া গ্রামের আসাদ অ্যাগ্রো ফার্মে গরু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওইদিন গরুগুলো মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানতে গরুগুলোকে খাওয়ানো কাঁচা ঘাস, দানাদার খাবার, গোবর, রক্ত, কলিজা, ফুসফুসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার সেন্ট্রাল ডিজিজ ইনভেস্টিগেশন ল্যাবে (সিডিআইএল) পাঠানো হয়।

পরীক্ষার রিপোর্টে তর্কা ও বাদলা নেগেটিভ আসে। পরীক্ষায় রক্তে, কলিজায়, লিভারে ইউরিয়ার মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে। ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খান বলেন, গত ২১ আগস্ট আমার ফার্মে ১৬টি হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুকে সকাল ৭টার দিকে ফার্মের কেয়ারটেকার সাদ্দাম হোসেন প্রতিদিনের মতো একই ধরনের খাবার (দানাদার খাবার, ভূষি, কুড়া) দেয়। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ষাড়, দুটি বকনা ও ৬টি গর্ভবতী গাভী মারা যায়। এতে আমার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জাহান জানান, সাধারণত গরুকে ২৪ ঘণ্টায় এক কেজি খাবারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ গ্রাম ইউরিয়া খাওয়ানো যায়। তবে কোনোভাবেই গর্ভবতী গাভীকে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না। মৃত গরুগুলোর খাবার পরীক্ষায় আমরা প্রতিকেজি খাবারে ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম ইউরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে খামারির সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, গরুগুলোকে ২৪ ঘণ্টায় দুইবার ইউরিয়া খাওয়ানো হয়েছে এবং গর্ভবতী গাভিকেও একই মাত্রায় ইউরিয়া খাওয়ানো হয়েছে। এ কারণেই নিশ্চিত হয়েছি যে, মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানোর কারণেই গরুগুলো মারা গেছে।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

ধামরাইয়ে আমেনা-নূর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দুস্থ গরীব এতিমদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

খাবারের সাথে অতিরিক্ত ইউরিয়া প্রয়োগে সেই ১১ গরুর মৃত্যু

আপডেট সময় ১২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ অগাস্ট ২০২৩

 

মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকার ধামরাইয়ের এগ্রো ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খানের স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছিল ১১টি গরুর মৃত্যুতে, গরুর মৃত্যুর জন্য মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানোর কারণেই হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্তৃপক্ষ। গতকাল রবিবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ধামরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম জাহান।

গত ২১ আগস্ট ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া কাজীপাড়া গ্রামের আসাদ অ্যাগ্রো ফার্মে গরু মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ওইদিন গরুগুলো মারা যাওয়ার প্রকৃত কারণ জানতে গরুগুলোকে খাওয়ানো কাঁচা ঘাস, দানাদার খাবার, গোবর, রক্ত, কলিজা, ফুসফুসের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ঢাকার সেন্ট্রাল ডিজিজ ইনভেস্টিগেশন ল্যাবে (সিডিআইএল) পাঠানো হয়।

পরীক্ষার রিপোর্টে তর্কা ও বাদলা নেগেটিভ আসে। পরীক্ষায় রক্তে, কলিজায়, লিভারে ইউরিয়ার মাত্রা বেশি পাওয়া গেছে। ফার্মের মালিক আসাদুজ্জামান খান বলেন, গত ২১ আগস্ট আমার ফার্মে ১৬টি হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের গরুকে সকাল ৭টার দিকে ফার্মের কেয়ারটেকার সাদ্দাম হোসেন প্রতিদিনের মতো একই ধরনের খাবার (দানাদার খাবার, ভূষি, কুড়া) দেয়। খাবার খাওয়ার আধা ঘণ্টার মধ্যে তিনটি ষাড়, দুটি বকনা ও ৬টি গর্ভবতী গাভী মারা যায়। এতে আমার প্রায় ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেলিম জাহান জানান, সাধারণত গরুকে ২৪ ঘণ্টায় এক কেজি খাবারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২০ থেকে ২৫ গ্রাম ইউরিয়া খাওয়ানো যায়। তবে কোনোভাবেই গর্ভবতী গাভীকে ইউরিয়া খাওয়ানো যাবে না। মৃত গরুগুলোর খাবার পরীক্ষায় আমরা প্রতিকেজি খাবারে ৪০ থেকে ৪৫ গ্রাম ইউরিয়ার উপস্থিতি পেয়েছি। এ ক্ষেত্রে খামারির সঙ্গে কথা বলে জানতে পেরেছি, গরুগুলোকে ২৪ ঘণ্টায় দুইবার ইউরিয়া খাওয়ানো হয়েছে এবং গর্ভবতী গাভিকেও একই মাত্রায় ইউরিয়া খাওয়ানো হয়েছে। এ কারণেই নিশ্চিত হয়েছি যে, মাত্রাতিরিক্ত ইউরিয়া খাওয়ানোর কারণেই গরুগুলো মারা গেছে।