মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার বাড়ারিয়া ইউনিয়নের খাবাশপুর লাবণ্য প্রভা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানকে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করার ঘটনায় প্রধান আসামি রাজু আহমেদসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আজ সোমবার ভোররাতে র্যাব ও পুলিশের একটি দল পৃথক অভিযানে তাঁদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে রোববার চারজনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যাচেষ্টা মামলা রুজু করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মামলার প্রধান আসামি সদর উপজেলার পশ্চিম শানবান্ধা গ্রামের রাজু আহম্মেদ (১৮) এবং শিমুলিয়া গ্রামের মো. আরিফ হোসেন (১৮)।
র্যাব, পুলিশ এবং মামলা এজাহার সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে লাবণ্য প্রভা উচ্চবিদ্যালয়ে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন রাজু আহমেদ। ওই সময় বিদ্যালয়ে উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার অভিযোগে স্কুল থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়। এর পর থেকে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমানের ওপর মারমুখী আচরণ শুরু করেন রাজু। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল বেলা ১১টার দিকে প্রধান শিক্ষক মিজানুর রহমান বালিরটেক বাজারে যাওয়ার পথে পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় কোপ দেন বহিষ্কৃত ছাত্র রাজু। এ সময় তাঁর সঙ্গে কয়েকজন সহযোগী ছিলেন। এতে শিক্ষক মাথায় গুরুতর আঘাত পান। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় প্রধান শিক্ষককে প্রথমে জেলা সদরে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে ঢাকার আগারগাঁওয়ে নিউরো সায়েন্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় গতকাল দিবাগত রাতে ভুক্তভোগী প্রধান শিক্ষকের ছোট ভাই সাইফুল হক বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও চার-পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। আজ ভোরে ঢাকার বাড্ডা এলাকায় থেকে অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি রাজু আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-৪-এর সিপিসি-৩ মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল। এর আগে গতকাল রোববার দিবাগত রাতে সদর উপজেলার শিমুলিয়া গ্রামের বাড়ি থেকে আসামি আরিফকে গ্রেপ্তার করে সদর থানা-পুলিশ।
আহত প্রধান শিক্ষকের ভাতিজা মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তাঁর চাচা মিজানুর রহমানের মাথায় গভীর ক্ষত হয়েছে। তাঁর সিটিস্ক্যানসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। তিনি এখনো আশঙ্কামুক্ত নন বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামিকে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আগামীকাল মঙ্গলবার তাঁদের আদালতে পাঠানো হবে। আসামিদের বয়য়ের বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাদের বিরুদ্ধে রিমান্ড চাওয়া হতে পারে।’