ঢাকা , শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

টাঙ্গাইল ঘাটাইলে দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ

মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
এশিয়া মহাদেশে সবচেয়ে বেশি ২০১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের পর টাঙ্গাইলে এবার ৩৯৯ ফুট উচ্চতার মিনারসহ ২৬১ গম্বুজ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়তুন নূর জামে মসজিদ’।

টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে ঘাটাইল, কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলার সংযোগস্থল ঘাটাইলের সিংগুরিয়ায় হাফেজ মওলানা মো. ফজলুল রহমান ওই মসজিদের উদ্যোক্তা। তিনি ওই গ্রামের মরহুম বাহাজ উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর) বিকালে প্রস্তাবিত মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রস্তাবিত ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের উদ্যোক্তা হাফেজ মওলানা মো. ফজলুল রহমান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজধানীর তেজগাঁ শিল্পাঞ্চল আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ সাইফুল ইসলাম বাবু। অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, হাফেজ মওলানা মো. হুসাইন আহমদ।

প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপরে ৩ তলা ও সু-সজ্জিত পাঁচটি মিনার বিশিষ্ট এ মসজিদটি নির্মাণ করা হবে। ৫টি মিনারের মধ্যে একটি ৩৯৯ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন- দৃষ্টিনন্দন আধুনিক মার্বেল পাথর দিয়ে মেহেরাব, পিলার ও মেঝে নির্মিত হবে। একত্রে ৩০ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থাসহ প্রতিটি জায়নামাজের স্থান কারুকাজ দ্বারা নির্ধারিত থাকবে। এছাড়া জেনারেটর ও এসির ব্যবস্থা এবং মসজিদে ইসলামী জ্ঞান চর্জার জন্য একটি লাইব্রেরী কক্ষের পাশাপাশি মহিলাদের আলাদা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।

২৬১ গম্বুজ মসজিদের উদ্যোক্তা হাফেজ মওলানা মো. ফজলুল রহমান জানান, তার বাবা ‘স্বপ্নে’ তাকে একটি মসজিদ নির্মাণ করতে বলেন। পরে তিনি পার্শ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের ২০১ গম্বুজ দেখতে যান। সেখান থেকে ফিরে তার ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছে হয়।

তিনি জানান, মসজিদ নির্মাণে জায়গাই মূলত প্রথম সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। তিনি নিজের প্রায় পাঁচ বিঘা জায়গা মসজিদের জন্য দিয়েছেন। বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও ব্যক্তিদের দানের উপর ভিত্তি করেই মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তিনি দেশের পৃথক স্থানে ইতোমধ্যে পাঁচটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। শুক্রবার বিকালে ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। তার জীবদ্দশায়ই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। মসজিদটি নির্মাণে তিনি সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।

ট্যাগস

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

ধামরাইয়ে বাস-অটোরিকশা সংঘর্ষ নিহত ২

টাঙ্গাইল ঘাটাইলে দৃষ্টিনন্দন ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ

আপডেট সময় ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩

মোঃ ফারুক হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
এশিয়া মহাদেশে সবচেয়ে বেশি ২০১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের পর টাঙ্গাইলে এবার ৩৯৯ ফুট উচ্চতার মিনারসহ ২৬১ গম্বুজ বিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রস্তাবিত ওই মসজিদটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বায়তুন নূর জামে মসজিদ’।

টাঙ্গাইলের ভ‚ঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক সড়কে ঘাটাইল, কালিহাতী ও ভূঞাপুর উপজেলার সংযোগস্থল ঘাটাইলের সিংগুরিয়ায় হাফেজ মওলানা মো. ফজলুল রহমান ওই মসজিদের উদ্যোক্তা। তিনি ওই গ্রামের মরহুম বাহাজ উদ্দিনের ছেলে। শুক্রবার (২২ সেপ্টম্বর) বিকালে প্রস্তাবিত মসজিদ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় ঘাটাইল উপজেলার আনেহলা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, প্রস্তাবিত ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের উদ্যোক্তা হাফেজ মওলানা মো. ফজলুল রহমান। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, রাজধানীর তেজগাঁ শিল্পাঞ্চল আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ সাইফুল ইসলাম বাবু। অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন, হাফেজ মওলানা মো. হুসাইন আহমদ।

প্রায় ৫ বিঘা জমির ওপরে ৩ তলা ও সু-সজ্জিত পাঁচটি মিনার বিশিষ্ট এ মসজিদটি নির্মাণ করা হবে। ৫টি মিনারের মধ্যে একটি ৩৯৯ ফুট উচ্চতা সম্পন্ন- দৃষ্টিনন্দন আধুনিক মার্বেল পাথর দিয়ে মেহেরাব, পিলার ও মেঝে নির্মিত হবে। একত্রে ৩০ হাজার মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থাসহ প্রতিটি জায়নামাজের স্থান কারুকাজ দ্বারা নির্ধারিত থাকবে। এছাড়া জেনারেটর ও এসির ব্যবস্থা এবং মসজিদে ইসলামী জ্ঞান চর্জার জন্য একটি লাইব্রেরী কক্ষের পাশাপাশি মহিলাদের আলাদা নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা থাকবে।

২৬১ গম্বুজ মসজিদের উদ্যোক্তা হাফেজ মওলানা মো. ফজলুল রহমান জানান, তার বাবা ‘স্বপ্নে’ তাকে একটি মসজিদ নির্মাণ করতে বলেন। পরে তিনি পার্শ্ববর্তী গোপালপুর উপজেলার পাথালিয়া গ্রামের ২০১ গম্বুজ দেখতে যান। সেখান থেকে ফিরে তার ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের ইচ্ছে হয়।

তিনি জানান, মসজিদ নির্মাণে জায়গাই মূলত প্রথম সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। তিনি নিজের প্রায় পাঁচ বিঘা জায়গা মসজিদের জন্য দিয়েছেন। বিভিন্ন দাতা সংস্থা ও ব্যক্তিদের দানের উপর ভিত্তি করেই মসজিদটি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, তিনি দেশের পৃথক স্থানে ইতোমধ্যে পাঁচটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন। শুক্রবার বিকালে ২৬১ গম্বুজ মসজিদ নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন। তার জীবদ্দশায়ই মসজিদটির নির্মাণ কাজ শেষ হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। মসজিদটি নির্মাণে তিনি সকল ধর্মপ্রাণ মানুষের সহযোগিতা ও দোয়া কামনা করেন।